১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

মাদরাসার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: মাদারীপুর সদর উপজেলার গাছবাড়িয়া জামিয়া কারিমিয়া মাদরাসার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাসিফ মাতুব্বর (১০) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। হাসিফকে ৫০০ টাকা চুরির অভিযোগে পেটানো হয়।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষক মো. আবুল হাসান খানকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। হাসিফ মাতুব্বর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকার আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া জামিয়া কারিমিয়া মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হাসিফকে ৫০০ টাকা চুরির অভিযোগে গত রবিবার ওই মাদরাসার শিক্ষক ইউসুফ মোল্লা পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো শরীরে জোড়া বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এরপর হাসিফ মাদরাসা থেকে পালিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে গেলে গতকাল বুধবার সকালে তার মা-বাবা পুনরায় মাদরাসায় দিয়ে যান। পরে আবারও বিকেলে হাসিফকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন মাদরাসার শিক্ষকরা।
এ ঘটনায় হাসিফের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে কয়েকজন শিক্ষক নির্যাতনের কথা ধামাচাপা দিতে হাসিফের মুখে বিষ (কীটনাশক) ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছু সময় পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসিফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মাদরাসার শিক্ষকরা পালিয়ে যান। তবে মো. আবুল হাসান খান নামের একজন শিক্ষক পালানোর আগ মুহূর্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। আটক শিক্ষক রাজৈর উপজেলার মোল্লাকান্দি গ্রামের আ. মান্নান খানের ছেলে।
হাসিফের বাবা আনোয়ার মাতুব্বর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলে সেটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে।’
মাদরাসার শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, ‘আমার টেবিলের ওপর টাকা রাখা ছিল। এ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আমি সামান্য মারধর করি। পরে ওই ছাত্র বাড়ি চলে যায়। সকালে ছাত্রের মা-বাবা মাদরাসায় দিয়ে যায়। আমি সারা দিন মাদরাসায় ছিলাম না। বিকেলে মারধরের ঘটনা আমি জানি না।’

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ